মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে যুক্ত হলো নতুন আকর্ষণ “স্বপ্নতরী“

হাসনাত ফারাবী:

বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘিরে গড়ে উঠেছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। আর এই শিল্পে নতুন করে যুক্ত হলো দৃষ্টিনন্দন হাউজবোট ‘স্বপ্নতরী’। এটি পর্যটন নগরীতে আগত পর্যটকসহ ভ্রমণপিপাসুদের সমুদ্র যাত্রার রোমাঞ্চকর স্বাদ দেবে। আর এরই মাধ্যমে কক্সবাজার পর্যটনে উন্মোচিত হলো নতুন দ্বার।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে ‘এমভি স্বপ্নতরী’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার—২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম ও স্বপ্নতরী’র স্বপ্নদ্রষ্টা পর্যটক উদ্যোক্তা হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

শহরের নুনিয়াছড়ার বিআইডব্লিউ ঘাট থেকে এই নৌযানটি যাত্রা করবে। এটি ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।

পর্যটক উদ্যোক্তা হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, “কাঠের তৈরি নৌযানটির ধারণ ক্ষমতা ১৪৬ জন। এটি প্রতিতদিন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সমুদ্র যাত্রা করবে। তারমধ্যে প্রথম যাত্রা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা ও দ্বিতীয় যাত্রা করবে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এটি নুনিয়ারছড়া ঘাট হয়ে যাত্রা দিয়ে মহেশখালীর সোনাদিয়া, শাপলাপুর পয়েন্ট ঘুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট হয়ে ঘাটে ফিরে আসবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় এখানে সবসময় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া ও অগ্নি নির্বাপক যাবতীয় সরঞ্জাম মজুদ আছে।“

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিকভাবে সকালের যাত্রায় দুপুরের খাবারসহ জনপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা নেওয়া হবে। দুপুরের খাবারে থাকবে চিংড়ি, মুরগী, সবজি, ডাল, সালাদ, কোল্ড ড্রিংস ও পানি। রাতে যাত্রায় জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় পিঠা ও রকমারী খাবারের আয়োজন থাকবে।

সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায়, হাউজবোটটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয় উপকরণ কাঠ ও বাঁশ। এখানে রাত্রিযাপন করতে না পারলেও পর্যটকরা কম খরচে ডিজে পার্টি, বুফে ডিনার, দুপুরের খাবারসহ নানা সুযোগ—সুবিধা পাবেন। দ্বিতল এই বোটে রয়েছে মাত্র দুইটি কেবিন। যার অবস্থান নিচতলায়। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বিতীয় তলায়। যেটিকে সাজানো হয়েছে রেষ্টুরেন্টের আদলে।

যাত্রীদের অভিম, ‘পর্যটকরা কক্সবাজার এসে বিকেল বা রাতে আনন্দ করার মতো তেমন কিছুই নেই। বার বার একি বিষয়। হাউজবোটের পরিকল্পনাটি নতুন। এটি কাজে লাগাতে পারলে কক্সবাজারের পর্যটন বহুদূল এগিয়ে যাবে।’

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION